রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:২৩

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

পটুয়াখালীতে সন্তানের চোখ উপড়ে ফেললো মা-বাবা!

dynamic-sidebar

নিউজ ডেস্ক :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় বাবা মায়ের বিরুদ্ধে নিজের ছেলে বেল্লালের (৩৫) চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চর কারফারমা গ্রামে সোমবার শেষ বেলায়।

এ ঘটনার সাথে বাবা জালাল হাওরাদার, মা আয়ফুল জান বিবি ও মামা হারুন হাওলাদারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। বুধধবার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ও অভিযুক্ত কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে মামা হারুন হাং ও মা আয়ফুল জান বিবি বেল্লালের চোখ তারা নিজেরা উঠিয়েছি বলে স্বীকার করেছে। মা জানান, ছেলে খারাপ হলে নিজেদেরই ব্যবস্থা নিতে হয়।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, পক্ষিয়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের ছেলে বেল্লালকে সোমবার তার মামা হারুন হাওলাদার চর কারফারমা গ্রামে নিজ বাড়িতে মাংস রুটি পিঠা খাওয়ার দাওয়াত দেয়। বেল্লাল ওই দিনেই মামা বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় আগে থেকেই ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিল বেল্লালের বাবাসহ আরো ৫ জন। বাবা-মায়ের সাথে ছেলে বেল্লালের দুর্বিনীত আচরণ, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদকাশক্তি ও পারিবারিক কলহের কারণে ক্ষিপ্ত ছিল তারা। এ কারণে মামা বাড়িতেই বেল্লালের দুই চোখই চাকু দিয়ে তারা উপড়ে ফেলে। বর্তমানে বেল্লালের চিকিৎসা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চলছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

বেল্লালের মা আয়ফুল জান বিবি অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রী খাদিজাকে মেরে ফেলে এমন কি ওর ভয়ে তারা কয়েক মাস পালিয়ে বেড়াত। মারা যাওয়ার সময়ে সানজিদা (৭), রেজাউলের (৫) আশ্রয় মিলে নানা বাড়ি আমখোলায়। এ ঘটনার পর থেকে বেল্লাল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এলাকায় নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে। এতে বাবা-মায়ের সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।

এ ব্যপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, বিষয়টি আমরা লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তিনি আরও জানান, বেল্লালের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরে তার মা আয়ফুল জান বিবি নানা অভিযোগ করেছেন যা গলাচিপা থানা পুলিশে তদন্তাধীন রয়েছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net